শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া :

কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় আলোচনা সভার শেষে ভাতের প্যাকেট বিতরণে কম-বেশী নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যের ছুরিকাঘাতে ফারহাদুল ইসলাম আরজু (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় আহত হয়েছে আরও ৪ জন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে আলী আকবর ডেইল শান্তি বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফারহাদুল ইসলাম আরজু আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকার মো আরাফাতের ছেলে।

দুই গ্রুপের আহতরা হলেন, আলী আকবর ডেইল শান্তি বাজার এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে কুরবান আলী (১৮), নজরুলের ছেলে শাফায়াত (৪০),আনিচুর রহমানের ছেলে নিশাত (১৭),গোলাম কুদ্দুছের ছেলে তাহসিফ (১৮)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনের সমর্থক সঙ্গে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হারুনের সমর্থকদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত কয়েক দিন আগে মোশাররফ হোসেন একজন মেয়েকে দিয়ে থানায় একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করতে দেন। সেখানে সাবেক ইউপি সদস্য হারুন ও তাঁর সমর্থকদের আসামী করেন। সেটি মামলা না হওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বর্তমান ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন ও তার বাহিনীরা।

পরে,আজ বৃহস্পতিবার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর সমর্থকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিলা ও বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধীনে একসিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের আওতায় শিশুশ্রম রোধে কমিটির আলোচনা সভায় দুই গ্রুপ উপস্থিত ছিলেন। এ সভা শেষে ভাতের প্যাকেট বিতরণের মোশাররফ সমর্থকদের আগে প্যাকেট দিতে বলেন। ঐসময় ভাতের প্যাকেট না দেওয়ায় মারধর করতে থাকেন ইউপি সদস্য মোশাররফ। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে সাবেক ইউপি সদস্য হারুন গ্রুপের ফারহাদুল ইসলাম আরজুকে ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থনে খুন করেন ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন। এতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থান থেকে আহতদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম কবির বলেন, আলী আকবর ডেইল শান্তি বাজার এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।